Day
Night
ভারতে বন্য রাজহাঁস, কাক ও হাঁসের শরীরে এভিয়ান ফ্লু শনাক্ত হওয়ার পর দেশটিতে লাখ লাখ হাঁস–মুরগি হত্যা করা হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বিভিন্ন রাজ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি মারা পড়ে। এগুলো পরীক্ষা করে এভিয়ান ফ্লুর ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
পরে এই ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করে। মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম থাকলেও জনসাধারণকে মৃত বা অসুস্থ পাখির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
অনেক জেলায় পোলট্রি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ডিম বিক্রিও বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাস অন্যান্য প্রজাতির পাখির মধ্যেও পাওয়া গেছে।
ভেটেরিনারি প্যাথলোজিস্ট বিক্রম সিং বিবিসি হিন্দিকে বলেন, উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হিমাচলের পং দাম লেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ পারিযায়ী পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এসব পাখি সাইবেরিয়া ও মঙ্গোলিয়া থেকে এসেছিল। বিক্রম সিং বলেন, পং দাম এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখনো পোলট্রিতে বার্ড ফ্লুর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে এই এলাকায় কোনো পোলট্রি খামার নেই।বিজ্ঞাপন
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালাতে ১২ হাজার হাঁস মারা গেছে। রাজ্যের গাইডলাইন অনুযায়ী, সেখানে আরও ৩৬ হাজার পাখি মেরে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে।
গত ১০ দিনে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে শত শত কাক মারা পড়েছে। অতিসম্প্রতি সেখানে সারস ও কবুতর মারা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ইন্দোর শহরে ৫০টি মৃত কাক পাওয়া গেছে। সেখানকার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ঠান্ডা, কফ বা জ্বর আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখছেন। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা জারির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানাতেও শত শত পোলট্রি হাঁস-মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এগুলো বার্ড ফ্লুর কারণে মারা পড়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। পশ্চিমের গুজরাট ও উত্তরের রাজস্থানেও মৃত কাক ও অন্যান্য বন্য পাখির শরীরে বার্ড ফ্লুর অস্তিত্ব পাওয়ার পর সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো।
Hello.This article was extremely remarkable, particularly because I was looking for thoughts on this topic last Wednesday.